রনিতা দাস ওরফে বাহাকে কেন এখন সিরিয়ালে নেওয়া হয় না, অবশেষে গো’প’ন খবর ফাঁ-স, ভাইরাল ভিডিও, রইল ভিডিও!











নিজস্ব প্রতিবেদন:বর্তমানে যেকোনো বাংলা চলচ্চিত্রের থেকেও ধারাবাহিক গুলি মানুষের মনে অতিরিক্ত জায়গা দখল করে নিয়েছে। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যে হলেই বাড়ির সকল সদস্যরা টিভির রিমোট হাতে নিয়ে ধারাবাহিক গুলি দেখতে বসে যান।প্রথমদিকে শুধুমাত্র বয়স্কদের মধ্যেই এই ধারাবাহিক গুলির জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছিল।





কিন্তু বর্তমানে বস্তাপচা গল্প থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার কারণে তরুণদের মধ্যেও এই ধারাবাহিক গুলি পরিচিতি লাভ করছে। এরকমই একটি ধারাবাহিক ছিল ইষ্টিকুটুম। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বাহা ওরফে রনিতা দাস। সেই সময় এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে অত্যধিক পরিচয় পেয়েছিলেন নায়িকা। কিন্তু আচমকাই এই ধারাবাহিকটি ছেড়ে দেন তিনি।





তারপর থেকে টেলি দুনিয়ার আর কোন চরিত্রে দেখা যায়নি রনিতাকে। সম্প্রতি রনিতার এই ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়ার কথা নিয়ে বেশ কয়েকটি খবর ভাইরাল হয়ে উঠেছে নেট দুনিয়ায়। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন এর মাধ্যমে আমরা জেনে নেবো টেলি দুনিয়ার সেইসব গোপন কথা। তাহলে আসুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক। প্রসঙ্গত,রণিতা দাস শুধু বাহা চরিত্রে আটকে থাকতে চাননি, চেয়েছিলেন আরও নানা ধরনের চরিত্র করতে।





কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির তরফে তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে রনিতার বয়ফ্রেন্ড সৌপ্তিক চক্রবর্তীর ক্ষেত্রেও।‘জলনূপুর’ ধারাবাহিকে পরিচিতি পেয়েছিলেন সৌপ্তিক চক্রবর্তী। কিন্তু সেখান থেকে সরে যাওয়ার পরে আর উল্লেখযোগ্য কাজ করেননি তিনি। এই প্রসঙ্গে এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে রনিতা জানিয়েছেন,”আমাদের পরিচয় ও প্রেম ‘ধন্যি মেয়ে’র সময় থেকে।





তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি পদক্ষেপেই সমালোচিত হয়েছি। ‘ইষ্টিকুটুম’ ও ‘জলনূপুর’ আমরা এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছাড়ি। সেখান থেকেই আমাদের প্রতি এই ধারণার জন্ম। কিন্তু সিরিয়াল থেকে বেরিয়ে আসার পিছনে দু’জনের কারণ আলাদা ছিল। এটা আজও ইন্ডাস্ট্রির লোকেদের বোঝাতে পারিনি”।





অভিনেত্রী আরো বলেছেন,”আসলে ‘ইষ্টিকুটুম’ ছাড়ার পরে আমার বিরুদ্ধে কেস করা হয়েছিল। পরে তা মিটেও যায়। কিন্তু সমস্যার শুরু সেখান থেকেই। সিরিয়াল আমি অসুস্থতার কারণে ছেড়েছিলাম। মেরুদণ্ডের ব্যথায় দাঁড়াতে পারতাম না। ওজন ভীষণ বেড়ে যাচ্ছিল। ওভারিতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও হাতে টানা রিকশায় বসে শট দিয়েছি। সিরিয়াল না ছাড়লে আমি বোধহয় মরে যেতেও পারতাম”।





উল্লেখ্য ধারাবাহিক ছাড়ার কিছু দিনের মধ্যেই রনিতা আর তার বয়ফ্রেন্ড সৌপ্তিককে ইন্ডাস্ট্রি থেকে ব্যান করা হয়। এর ফলাফলস্বরূপ সৌপ্তিক জানিয়েছেন,”আমাকে তিনটে সিনেমা ছাড়তে হয়েছিল। এর মধ্যে অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ব্যোমকেশ বক্সীতে গুরুত্বপূর্ণ খল চরিত্র করার কথা চূড়ান্ত হয়েও শুটিংয়ে যাওয়ার আগের দিন টিকিট ক্যানসেল হয়েছিল। প্রচুর বিজ্ঞাপনের কাজও হাতছাড়া হয়েছে”।





অপরদিকে নায়িকা বলেন,”প্রোডিউসর গিল্ড থেকে আমাদের ব্যান করেছিল। আমার নন-ফিকশন অবধি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আর একটি চ্যানেলের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত আমরা পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেয়েছিলাম”।অভিনেত্রীর কথায়,”সৌপ্তিকের সঙ্গে অনেক অন্যায় হয়েছে”। আর সৌপ্তিকের কথায়,”কয়েক জন মানুষের ইগোর জন্য একটি চ্যানেলে কাজ করতে পারছি না।





এটা আমার কাছে খুব কষ্টকর। আমি অভিনেতা, কাজ করতে চাই”।জানিয়ে রাখি, বিগত প্রায় বছর দশেকের বেশি সময় ধরে সম্পর্কে রয়েছেন রনিতা আর সৌপ্তিক।এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে তারা জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন এই তারকা দম্পতি।









