খরকুটো সিরিয়ালের পুটু পিসির এই বাস্তব লুক দেখলে আপনিও চমকে উঠবেন, রইলো ভিডিও সহ!











নিজস্ব প্রতিবেদন:বাংলা ধারাবাহিক সম্পর্কে পরিচিত হয়ে থাকলে আমরা স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক খড়কুটো অবশ্যই দেখে থাকবো। এই ধারাবাহিকে অভিনীত পুটু পিসি চরিত্রটি সকলেরই পছন্দের। বিগত দীর্ঘদিন ধরে এই চরিত্রে অভিনয় করে চলেছেন সোহিনী সেনগুপ্ত। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানলে আপনি একেবারেই অবাক হয়ে যাবেন। ব্যক্তিগত জীবনে সোহিনী নিজের থেকে ছোট একজন অভিনেতা কে বিয়ে করেছেন।





প্রথম থেকেই ভালোবাসা কোনো রকম বাধা–বিপত্তি, জাত, ধর্ম, বয়স কিছুই মানে না তা বারংবার প্রমাণিত হয়েছে। ভালোবাসার কাছে এসব যে নিতান্তই তুচ্ছ বস্তু সকলেই জানেন।অনেক ক্ষেত্রেই অত্যধিক বয়সের পার্থক্য রয়েছে এমন দম্পতিদের আমরা দেখেছি।বিশেষত তারকাদের মধ্যে ভালবাসার ক্ষেত্রে বাছবিচার একেবারেই নেই বললে চলে।





বলিউড অভিনেতা মিলিন্দ সোমান এর থেকে স্ত্রী অঙ্কিতা প্রায় ২৪ বছর বয়সের ছোট।তাও আজ অবধি এই দম্পতির মধ্যে কোন রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি। পরিস্থিতি যাই আসুক না কেন সর্বদা একে অপরের পাশে থাকেন এই তারকা দম্পতি। কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকমই একজন দম্পতির ছবি ঘোরাফেরা করছে। আপাতদৃষ্টিতে কিছু নিচু মানসিকতা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে হয়তো এই ছবিটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু।কিন্তু বাস্তব বিচার করতে গেলে এই ছবিটি সত্যি কারের ভালোবাসা প্রমাণ করে দেবে।





এই ছবিটি পুটু পিসি এবং তার স্বামী সপ্তর্ষি মৌলিক ওরফে জনপ্রিয় ধারাবাহিক শ্রীময়ী তে অভিনীত ডিংকার। বহুদিন পর্যন্ত অনেকেই জানতেন না হয়ত যে এনারা স্বামী-স্ত্রী। তবে হয়তো অনেকের মনেই এই মুহূর্তে প্রশ্ন আসছে কিভাবে পরিচয় হল সপ্তর্ষির সাথে বয়সে এত বড় সোহিনীর! প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরে থিয়েটারে অভিনয় এর সাথে যুক্ত রয়েছেন সোহিনী।





বাস্তবে যখন অভিনয় জগতে সর্বপ্রথম পদার্পণ করেন সপ্তর্ষি, তখনই এই জগতের মধ্য গগনে রয়েছেন সোহিনী সেনগুপ্ত।এমনকি প্রথমদিকে সোহিনীকে নিজের শিক্ষিকা বলেই মানতেন তিনি।কিন্তু শিক্ষিকা বলে মানলেও মন দেওয়া-নেওয়া হওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি দেরি হয়নি এই নবাগত অভিনেতার। নাট্যমঞ্চে আলাপ হওয়ার পর কথা বলতে বলতে একে অপরের প্রেমে পড়ে গেলেন তারা।





প্রথমে যদিও বেশ অনেকটাই বাধার মুখোমুখি হয়েছিলেন সোহিনী।তার কারণ এর আগেও একবার বিবাহ ব-ন্ধ-নে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মনোমালিন্যের জেরে কোন অজ্ঞাত কারণবশত সেবার তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে যায়।যার ফলস্বরুপ দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে অনেকটাই চিন্তিত ছিলেন সোহিনী।





কিন্তু এক কথায় শিক্ষিকার প্রেমে একেবারে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন সপ্তর্ষি। যার ফলস্বরুপ সোহিনী রাজি না হওয়ায় সোজা তার বাড়িতে গিয়ে সোহিনীর বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন শ্রীময়ী ধারাবাহিক খ্যাত ডিংকা। ডিংকার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর অনেকটাই অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন সোহিনীর বাবা। প্রথমদিকে কিছুটা অমত থাকলেও একমাত্র মেয়ের কথা ভেবে আর না করেননি তিনি।





এরপর ২০১২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন টেলিভিশন দুনিয়ার এই জনপ্রিয় তারকা দম্পতি। তারপর থেকে আজ প্রায় দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ জমিয়ে সংসার করে চলেছেন তারা। বয়স বা ভাবনাচিন্তা কোন কিছুই তাদের জীবনে বিশেষ কিছু পরিবর্তন আনতে পারেনি।মাঝে মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ার আনাচে-কানাচে তাদের প্রেমকাহিনী ভাইরাল হতে দেখা যায়।যদি আপনিও ধারাবাহিক প্রেমী মানুষ হন তাহলে অবশ্যই এই তারকা দম্পতিকে আপনার পছন্দ হবেই।





কারণ একমাত্র এই জুটিকে দেখলেই বোঝা যায় সত্যি কারের ভালোবাসা কিভাবে সৃষ্টি হয়। বর্তমান জগতে বেশিরভাগ জায়গাতেই রূপ এবং গুণ দেখে মানুষকে বিচার করা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের ঘটনা দেখলে যে প্রশংসা করা হবেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না।আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন টি আপনার কেমন লাগলো তা একটি ছোট্ট মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।









