হাসপাতালে মৃ-ত্যু’র সাথে ল-ড়া’ই করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়, পাশে নেই কেও, ভাইরাল হলো ভিডিও!











নিজস্ব প্রতিবেদন:-দিন কয়েক আগেই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ঘটনার খবর জানতে পেরেছিলাম যা আমাদের সকলের চোখে জল এনে দিয়েছিল। টুইটারে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, মৃ-ত্যুশ-য্যা-য় থাকা করোনা আ-ক্রা-ন্ত বাবাকে জল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন একটি মেয়ে।কিন্তু অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় এবং রোগটি সং-ক্রাম-ক হওয়ার কারণে মেয়েকে বাধা দেয় নিজেরই মা। তাও মায়ের বাধা অতিক্রম করে বাবাকে জল দিতে গেলে জল খাওয়ার আগেই মেয়েটির বাবা হঠাৎ করেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে।





ওই ব্যক্তির এভাবে মৃ-ত্যু দেখে স্বাভাবিকভাবেই সকল নেটিজেনরা দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। যদিও এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগতভাবে কারো কিছু করার নেই তবুও অনেকেই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন। সম্প্রতি এমন এক ব্যক্তির ম-র্মা-ন্তিক বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে দর্শকদের কাছে এসে পৌঁছেছে যা সকলের চোখে জল এনে দিতে বাধ্য হয়েছে। আমরা বলছি সদ্য করোনা আ-ক্রা-ন্ত হয়ে মৃ-ত ইউটি-উবার রাহু-ল ভোরারকথা।করোনার প্র-কোপ যে কত নিষ্ঠু-র হতে পারে তার সাক্ষী সারাবিশ্ব। ভারতের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।ভারতের দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশে লাশের স্তুপ পড়ে গিয়েছে। শ্ম-নে মৃ-ত-দে-হ পোড়ানোরও জায়গা কম পড়ছে।





এরইমধ্যে গতবছর কিছুটা করোনাভাইরাস এবং অন্যান্য শারীরিক সম-স্যার জেরে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় কিং-বদন্তি- অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর আরো অনেক তারকাদের নাম এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি খবর পাওয়া গিয়েছে অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়ের শারীরি-ক অবস্থা চূড়া-ন্ত সং-কটে-র মধ্যে রয়েছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বয়স্ক ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত মা-রা-ত্মক-। তাই খুব সহজেই প্রবীণ সন্ধ্যা রায়এই ভাইরাসে আ-ক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন।





ওয়াকিবহাল মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সন্ধ্যা রায়কে। কিছুদিন ধরেই তার শরীরে নানান রকমের উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় তাকে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু বাড়িতে দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তার। যার ফলস্বরুপ চলতি মে মাসের ৪ তারিখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বাধ্য হয় পরিবারের সদস্যরা।





যখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন তখন তার শরীরে জ্ব-র এবং শ্বাস-কষ্টে-র সমস্যা চূড়ান্ত ছিল। এমতাবস্তায় ধীরে ধীরে অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করে সন্ধ্যা রায়ের।সন্ধ্যা রায়ের কোভিড নিউমোনিয়া থাকায় অক্সিজেন লেভেল ঘোরাফেরা করছিল ৯৬ -এর আশেপাশে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির পরপরই তার অক্সিজেন লেভেল নেমে যায় ৯৪ -এ।





বর্তমানে এটি নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তাররা।কারণ এভাবে অক্সিজেন লেভেল কমতে থাকলে এই কিংবদন্তী অভিনেত্রীকে হয়তো আর বাঁচানো সম্ভব হবে না।কারণ আগে থেকেই তার শরীরে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকায় রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা অনেকটাই কম। আমাদের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত, হাসপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী, আপাতত অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে।





তবে তার শরীরে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সন্ধ্যা রায়। আচমকা অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার দরুন আপাতত কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা।শরীরে অক্সিজেন লেভেল বাড়ানোর জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বার্ধক্যজনিত সমস্যা থাকার দরুন যে কোন ওষুধ তার শরীরে প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।





প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ৬০—৭০ এর দশকে সুচিত্রা সেন,সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ অভিনেত্রীদের সাথে সমান তালে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে মামলার ফল ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।প্রথম জীবনে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে নায়িকা হিসেবে অত্যন্ত নাম অর্জন করেছিলেন তিনি। সবথেকে বেশি শমিত ভঞ্জ এর সাথে তার জুটি সাফল্য লাভ করেছিল।





দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত সিনেপ্রেমীরা সন্ধ্যা রায়ের অভিনয় ভুলে যাননি।তার সৌন্দর্য এবং অভিনয় এখনো পর্যন্ত মানুষের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে।আমরা আশা করবো খুব দ্রুত যেন নিজের সমস্ত শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সন্ধ্যা রায় অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ফুলেশ্বরী, বাবা তারকনাথ প্রভৃতি।









