কিভাবে তা-ণ্ড-ব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝ’ড় “ইয়াস”, বড় বড় নারকেল গাছ নু’ইয়ে ভে-ঙে প-ড়’ল মাটির মধ্যে,তুমুল ভাইরাল ভিডিও!











নিজস্ব প্রতিবেদন:প্রাকৃতিক বি-পর্য-য় মানুষের জীবনকে কতটা দু-র্বিষ-হ করে তুলতে পারে তা হয়তো অনেকেরই ধারণার বাইরে! বি-প-র্যয় বলতে আমরা সাধারণত ঝড়, বন্যা, খরা, ভূমিকম্প প্রভৃতিকে বুঝি।এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় এইসব প্রাকৃতিক বি-প-র্যয় গুলি সৃষ্টি হওয়ার ফলে ব্যাপক ক্ষ-য়ক্ষ-তি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সম্প্রতি আবারও ঠিক একই ঘটনা ঘটল আমাদের বাংলা সহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে।





বিগত সপ্তাহ থেকেই আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের দিকে এগিয়ে আসতে চলেছে ঘূ-র্ণিঝ-ড় “ইয়াস”। আবহাওয়াবিদেরা আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন এই ঘূ-র্ণি-ঝড় গত বছরের আম্ফানের মত ভ-য়াবহ হতে পারে।আর ঠিক তেমনটাই বর্তমানে ঘটতে দেখা যাচ্ছে।





প্রসঙ্গত গতকালই ওড়িশার বালেশ্বর উপকূলে আছড়ে পড়েছে এই মা-রা-ত্ম-ক ঘূর্ণিঝড়। যার ফলস্বরূপ ঝাড়খন্ড, বিহার ও বাংলা সহ দেশের প্রায় ১০ টি রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বাংলার মধ্যে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা। এখানকার বেশিরভাগ জায়গাই প্রায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধন— সম্পদের ক্ষ-য়-ক্ষ-তি হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে গিয়েছেন।





যদিও আগে থেকেই আগাম সর্তকতা থাকার কারণে সা-ইক্লো-ন সেন্টার তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলস্বরুপ এখনো পর্যন্ত বিশেষ কোনো ব্যক্তির আহত বা মৃ-ত্যু- র খবর সামনে আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল একটি ভিডিও মানুষের মনে আ-ত-ঙ্ক সৃষ্টি করে দিয়েছে। তুমুল ভাইরাল এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে,দীঘার একটি জায়গায় একের পর এক বিশাল আকৃতির নারকেল গাছ এবং অন্যান্য গাছ নুইয়ে পড়ে রয়েছে। সম্ভবত গতকাল ঝড়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।





এই ঘটনাটি দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। প্রকৃতির আ-ঘা-ত যে কতটা ভ-য়া-বহ হতে পারে এই ভিডিওটি প্রমাণ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ভ-য়া-ব-হ ভিডিওটি নেটদুনিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের বি-প-দ থেকে ঈশ্বর তাদের রক্ষা করে অনেক বড় আশীর্বাদ করে দিয়েছেন।





উল্লেখ্য আমাদের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত,জানা গিয়েছে এখনো পর্যন্ত মোটামুটি দিন দুয়েক এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে রাজ্যজুড়ে। শুধু তাই নয়,উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জায়গাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। এই বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আজ কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি।









